#বিষয়ঃ আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসাঃ)
১। আগুনে পোড়া রোগীকে প্রথমেই আগুন থেকে উদ্ধার করতে হবে । উদ্ধারকারীর নিজের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তার নিজের জীবন যেন বিপন্ন না হয়।
২। পোড়া রোগীর পরিধেয় বস্ত্র যদি ত্বকের সাথে আটকে যায় তবে তাখোলার ব্যবস্থা করা উচিত নয়। তবে যদি এসিড কিংবা ক্ষার দ্বারা পোড়া যায় তবে তা সরিয়ে ফেলা উচিত। নচেৎ এতে করে এসিড কিংবা ক্ষার দ্বারা পোড়ার অংশ আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩। পোড়া যদি খুব বেশি গভীর না হয় তাহলে জ্বালা ও বেদনা কমানোর জন্য ঠান্ডা পানিতে ১০/১২ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ভাল হয়। এছাড়া বরফ পট্টি দেওয়া যেতে পারে। ভিনিগার দিয়ে ধুলেও জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায় ।
৪। কারও পরিধেয় বস্ত্রে যদি আগুন ধরে তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছুটাছুটি করতে না দিয়ে লেপ, কাঁথা কিংবা কম্বল দিয়ে জড়িয়ে ধরতে হবে। মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কিংবা পানি ঢেলে দিলেও আগুন নিভে যায়। তবে পানি দিয়ে আগুন নেভাবার চেষ্টা না করাই উচিত। এতে করে ঘা বেড়ে যাবার সম্ভাবনাথাকে ।
৫। পরিষ্কার কাপড়, গজ বা তুলা দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে, সংক্রমণ যাতে না ছড়াতে পারে এবং তরল পদার্থ শরীর থেকে বেশি বের না হতে পারে। সবচাইতে ভাল হয় পলিথিন দিয়ে যদি ক্ষতস্থান ঢেকে রাখা যায় ।
৬। আমাদের গ্রাম দেশে পোড়া স্থানে ডিমের কুসুম, ছাই ইত্যাদি লাগানো হয়। কিন্তু এগুলো ক্ষতস্থানে লাগানো উচিত নয় ।
৭। যদি কেরোসিন কিংবা পেট্রোলজনিত অগ্নিকান্ড ঘটে তবে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
৮। ফোস্কা পড়লে তা কখনও গালতে হয় না। এতে করে দেহের তরলপদার্থ বেরিয়ে যাবে এবং দেহে সংক্রমণ ঘটবে।
৯। শক্ প্রতিরোধ করতে হবে।
১০। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
© Dr. Md. Rafiqul Islam Rafiq
BHMS (Dhaka University)
বিএইচএমএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
🤙 01703862490 (imo & WhatsApp)
0 Comments