Ad Code

Responsive Advertisement

মুখের ঘা | মুখে ঘা হলে কি করবেন ?

মুখের ঘা


মুখের ভেতর ছোট ছোট দানা। ঝাল কোনো খাবার খেলেই যন্ত্রণা বেড়ে যায়। মনে হতে পারে, এটি কঠিন কোনো অসুখ। আসলে মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ছোট ছোট দানার মতো ঘা দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

সাধারণত অজান্তে মুখ বা জিবে কামড় পড়লে, শক্ত টুথব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁত ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলেই ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে। এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব, বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও ঘা হতে পারে।

যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হূদেরাগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাঁদের মুখে জীবাণু বিস্তার করে এমন ঘা হতে পারে। লিউকোমিয়া, লাইকেন প্লানাস ইত্যাদি কারণেও মুখে ঘা হতে পারে। তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে কারণে মুখে ঘা হয়, তাকে বলে অ্যাপথাস আলসার। জিব, মাড়ি ও মুখের ভেতর দিকে অনেকটা ব্রণের মতো দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়। এটি বারবার হয়। বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোনো দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষার পর জেনে নিতে হবে কী কারণে এ ধরনের ঘা হচ্ছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যাবে।

কী করতে হবে
প্রচুর পানি পান করুন।
লবণ-পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন।
মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা অ্যান্টিসেপটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন।
মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই স্কেলিং করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ভিটামিন ‘বি’-র স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।

নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
ধূমপান, জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।

মুখ ও জিবের পরিচ্ছন্নতা
প্রতিদিন দুবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করবেন
দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করবেন
চিনি, চিনির তৈরি খাবার—যেমন মিষ্টি, চকলেট, জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঠালো চকলেট আরও ক্ষতিকর।  প্রতিদিন লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস ভালো।

ধূমপান বন্ধ করুন। গুল-জর্দা বা তামাক ব্যবহার করবেন না।
বছরে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মুখে ঘা হলে কি করবেন ? আমাদের মুখ গহ্বর স্বাভাবিক ভাবেই ভীষণ সংবেদনশীল। একটু ক্ষত হলেই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। খাবার খেতে সমস্যা তো হয়ই, এমনকি পানি বা যে কোন তরল পদার্থ গ্রহণে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। শৈশবে ও বয়োসন্ধিতে অ্যাপথাস আলসার দেখা যায়। ছোট ছোট গোলাকৃতির মত যার কেন্দ্রে সাদা বা হলুদ ডট এবং চারপাশে লাল বর্ডার দেখা যায়। এক্ষেত্রে ব্যথা না হলেও ভালো হয়ে যাওয়ার ১ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় দেখা দিতে পারে। এ ধরনের আলসারে ক্ষত সেরে যাবার পর কোন দাগ থাকে না। গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে এক তৃতীয়াংশ রোগীর কারণ বংশগত। ধূমপান, স্ট্রেস, অতিরিক্ত ঝাল বা মসলাদার খাদ্যগ্রহণ, আঘাত, ফুড এলার্জি অ্যাপথাস আলসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। খাদ্য তালিকায় আয়রণ, ভিটামিন বি, জিংক, আয়োডিন এর অভাবে এ রোগ হতে পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে মুখের ঘা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

১। যষ্টিমধু
যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ঘা প্রতিরোধ করে থাকে।

২। টি ব্যাগ
খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মুখের ঘা দূর করার আরেকটি উপায় হল টি ব্যাগ। এটি দ্রুত ব্যথা এবং ইনফ্লামেশন দূর করে দিয়ে থাকে। একটি টি ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের স্থানে লাগান। এটি সাথে সাথে আপনার ব্যথা কমিয়ে দিয়ে দিবে।

৩। নারকেল দুধ
এক টেবিল চামচ নারকেল দুধের সাথে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি ঘায়ের স্থানে ম্যাসাজ করুন। দিনে তিন থেকে চারবার করুন। মধু ছাড়া শুধু নারকেলের দুধ দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।

৪। তুলসি
কয়েকটি তুলসি পাতাসহ পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করে দিবে এবং মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিবে। তুলসি পাতার ঔষধি উপাদান মুখের ঘা উপশম করে থাকে।

৫। অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল বা জুস মুখের ঘা প্রশমিত করে ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান আছে। গবেষণায় দেখা গেছে মুখের সমস্যা যেমন ঘায়ের ভাল প্রতিষোধক হল অ্যালোভেরা জেল।

টিপস:
১। মুখের ঘায়ের ব্যথা বেড়ে গেলে এক টুকরা বরফ নিয়ে ঘায়ের স্থানে রাখুন। অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলিকুচি করুন। এটি সাময়িকভাবে ব্যথা থেকে উপশম দিবে।
২। এক টুকরো লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন। অথবা লবঙ্গের রস দিয়ে ঘায়ের স্থানটি লাগাতে পারেন।
৩। লবণ পানি কুলকুচি করে নিতে পারেন, এটি মুখের ইনফেকশন প্রতিরোধ করে থাকবে।

#চর্ম | #যৌ'ন | #মানসিক | #শ্বাসকষ্ট |
#ক্যান্সার | #ব্যথা ও স্ত্রীরোগসহ |
#হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অভিজ্ঞ!

ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম (রফিক)
বিএইচএমএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
(ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)
সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা। #গভ. রেজিঃ এইচ - ১৬৭৭

#প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকঃ)  
1) সুসার হোমিওপ্যাথিক স্কুল 
2) সুসার মেডিকেল সার্ভিসেস 
3) ইয়ালাম হোমিওপ্যাথিক চেম্বার 

#চেম্বারঃ)  সুসার হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিক  
SUSAR Homoeopathic Clinic 
                                 
#যেকোন রোগ বিষয়ক বিস্তারিত জানতে ও
চিকিৎসা পরামর্শ নিতে সরাসরি যোগাযোগ মাধ্যমঃ)

🤙 01703862490 (imo/WhatsApp)

★ইমেইলঃ) 
drrafiqchamberbd@gmail.com
★ফেসবুক পেজঃ)
https://www.facebook.com/DrRafiqulbhmsbd
★ইউটিউব চ্যানেলঃ)
https://www.youtube.com/@DrRafiqChamber

#বিশেষ বার্তাঃ) 
1) অনলাইনেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
2) সবসময় রেজিস্ট্রার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
3) নিজে সুস্থ থাকুন। পরিবারকে সুস্থ রাখুন। 
=) ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu