যাদের দোয়া কবুল হয়
দোয়া বা প্রার্থনা দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যম। তবে দোয়া হতে হবে সঠিক পন্থায়। চাইতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট। তাই মানুষের সমস্যা সমাধানে বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমাকে ডাকো; আমি তোমাদের উত্তর দেব (তোমাদের প্রার্থনা কবুল করবো)। এই আয়াতের আলোকে মানুষের সব ধরনের প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করা একান্ত কর্তব্য। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা দোয়া করলে, সে দোয়া বিদ্যুৎ বেগে আল্লাহর দরবারে পৌছে যায়। আর আল্লাহ তাআলাও সে দোয়া কবুল করেন। যা তুলে ধরা হলো-
» পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য।
» সন্তানের দোয়া পিতা-মাতার জন্য।
» মুসাফিরের দোয়া।
» বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া।
» মজলুম (অত্যাচারিত-নির্যাতিত-নিপীড়িত) ব্যক্তির দোয়া। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫৩৬)
» হাজির দোয়া (হজের সময় ও হজ সম্পাদনের পর ৪০ দিন পর্যন্ত)
» মুজাহিদের দোয়া।
» অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া।
» মুসলমান ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে অন্য মুসলমানের দোয়া। (মুসলিম, হাঃ ৬৮২২)
» রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়। (তিরমিজি, হাঃ ২৫২৬)
» অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া। (সূরা নামল, আয়াতঃ ৬২)
» ইমামে আদিলের (সুশাসক ও ন্যায়বিচারক) দোয়া। (তিরমিজি, হাঃ ২৫২৬)
» বন্ধুর জন্য বন্ধুর দোয়া।
» নেককার ব্যক্তির দোয়া।
সর্বোপরি বান্দার সকল দোয়াই আল্লাহ কবুল করবেন, যদি বান্দা শিরকমুক্ত থেকে একনিষ্ঠ মনে কায়মনোবাক্যে কাকুতি মিনতির সহিত আল্লাহর দরবারে দোয়া করে।
0 Comments