দোয়া কবুলের উত্তম সময়
দুনিয়ায় সকল মানুষই আল্লাহ নিকট মুখাপেক্ষী। বান্দার সুস্থ্য জীবন-যাপন আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো বান্দা এক কদমও চলতে পারে না। সেই মহা মনিবের দরবারে প্রত্যেক বান্দারই রয়েছে একান্ত চাওয়া-পাওয়া। এ চাওয়া-পাওয়া কবুলের জন্য রয়েছে একান্ত কিছু সময়। যা এখানে তুলে ধরা হলো-
» শেষ রাত্রির (রাত্রির তৃতীয় ভাগ তথা তাহাজ্জুদ নামাজের সময়) মধ্য ভাগ।
» লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রি।
» আজান ও একামতের মধ্যবর্তী সময়।
» পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর।
» প্রত্যেক রাত্রের দ্বি-প্রহরের পর কিছু সময়।
» জুমার দিবসের কিছু সময়। আর তা হলো আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়।
» জুমার খুতবা থেকে জুমার নামাজের জামাতের সময় পর্যন্ত।
» বৃষ্টি বর্ষণের সময়।
» আল্লাহর পথে বেরিয়ে যুদ্ধের জন্য কাতারবন্দী হয়ে অগ্রসর হওয়ার সময়।
» পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের আজানের সময়।
» অযু অবস্থায় ঘুমিয়ে অতপর রাত্রিতে জাগ্রত হয়ে দোয়া করা।
» রমজান মাসে দোয়া করা।
» সেজদারত অবস্থায় দোয়া করা।
» জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া করা।
» আরাফাতের দিনের দোয়া।
» জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের দোয়া।
» ইফতারির আগের দোয়া।
পরিশেষে রমজান মাস ও লাইলাতুল ক্বদর ব্যতিত সারা বৎসরই আমরা উক্ত সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে আমাদের মনের একান্ত চাওয়া-পাওয়াগুলো নিবেদন করতে পারি। হাদিসের আলোকে আল্লাহ তাআলা তা গ্রহণ করার জন্য বান্দাকে প্রত্যেক রাতে আহ্বান করেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উক্ত সময়ে তাঁর কাছে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 Comments