ফরজ সালাতের পরের দোয়া ও জিকির
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৮৪২)
(আসতাগফিরুল্লাহ, তিন বার)
অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
(নিন্মোক্ত দোয়া এক বার)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু, তাবারাকতা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম। ①
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমিই শান্তি আনায়নকারী। তোমার নিকট হতেই শান্তি আসে। হে পরাক্রম ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বারকাত ও প্রাচুর্যময়। (তিরমিজি, হাঃ ৩০০)
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারিকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়য়িন কাদির। আল্লাহুম্মা লা মানিয়া লিমা আ'ত্বয়তা ওয়ালা মু'তিয়া লিমা মানা'তা ওয়ালা ইয়ানফায়ু যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। ②
অর্থঃ এক আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। হে আল্লাহ্! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আপনার নিকট (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৮৪৪)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আয়িন্নি আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক। ③
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার জিকির করা, শুকরিয়া আদায় করা এবং উত্তম ইবাদত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করুন। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫২২)
আয়াতুল কুরসি পাঠ করাঃ
উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়য়ুল কায়য়ুমু লা তা’খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওমুন লাহু মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদি মান যাল্লাযি ইয়াশফায়ু ইনদাহু ইল্লা বিইযনিহি ইয়া'লামু মা বায়না আয়দিহিম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশায়য়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয় উহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়-উল আজিম। ④
অর্থঃ আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁহাকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্ত তাঁহারই। কে সে, যে তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত। যাহা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁহার জ্ঞানের কিছুই তাহারা আয়ত্ত করিতে পারে না। তাঁহার কুরসী' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; ইহাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁহাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৫৫)
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বাধা প্রদান করার মতাে কোন কিছু থাকবে না। (বুলুগুল মারাম, হাঃ ৩২৬)
(সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার, (আলহামদু লিল্লাহ) ৩৩ বার, (আল্লাহু আকবার) ৩৩ বার এবং একবার।
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়য়িন ক্বাদির। ⑤
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরিক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার জন্য এবং সমস্ত প্রশংসাও তার জন্য। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সহীহ মুসলিম, হাঃ ১২৩৯)
আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার 'সুবহানাল্লাহ' ৩৩ বার 'আলহামদুলিল্লাহ' ৩৩ বার 'আল্লাহু আকবার' পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার উক্ত দোয়াটি পড়ে তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়।
0 Comments